জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ (১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের গ্রেফতার করতে পরোয়ানা জারি করেন।
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান সেদিন ছুটিতে থাকায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা এই দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করলে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এরপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল জোবায়দার করা মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই মামলায় ৮ সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দা রহমানকে বিচারিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই জোবায়দার পক্ষে লিভ-টু-আপিল করা হয়।